শনিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ০১:৫১ পূর্বাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার ::
সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলায় মুক্তিযোদ্ধা সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে মঞ্চ থেকে নিচে নেমে মুক্তিযোদ্ধাদের সন্মান জানিয়ে স্যালুট দেন জগন্নাথপুর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মিজানুর রহমান। মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি সন্মান জানিয়ে তাঁর এ সন্মান প্রদর্শনে মুক্তিযোদ্ধাগন আবেগতাড়ীত হয়ে পড়েন। তারা বলেন জীবনের প্রথম জীবিত অবস্হায় এক জন পুলিশ কর্মকতার কাছ থেকে স্যালুট পেলাম। আমরা অভিভূত।
জগন্নাথপুর উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে মুক্তিযোদ্ধা সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। শনিবার বিকেলে উপজেলা পরিষদের সামনে এ উপলক্ষে আয়োজিত সভায় সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাজেদুল ইসলাম। বক্তব্য দেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আতাউর রহমান, ভাইস চেয়ারম্যান বিজন কুমার দেব, বীর মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দ আতাউর রহমান, বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল হক,কৃষি কর্মকর্তা শওকত ওসমান মজুমদার, থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মিজানুর রহমান,যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ সাজিদুর রহমান ফারুক, উপজেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম রিজু, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক লুৎফুর রহমান, চিলাউড়া হলদিপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শাহিদুল ইসলাম, প্রেসক্লাব সভাপতি শংকর রায়, উপজেলা যুবলীগ সভাপতি কামাল উদ্দিন প্যানেল মেয়র সাফরোজ ইসলাম প্রমুখ
বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল হক বলেন, থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মঞ্চ থেকে নিচে নেমে মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের প্রতি যে সন্মান প্রদর্শন করেছেন তাতে আমরা অভিভূত। অনেক সময় দায়সারাভাবে মুক্তিযোদ্ধা সংবর্ধনার নামে আমাদের সন্মান জানানো হয়। একজন সরকারি কর্মকতার কাছ থেকে জীবন সায়াহ্নে এসে এতটুকু প্রাপ্তি আমাদের জীবন বাজি রেখে মুক্তি সংগ্রামে অংশ নেওয়া কে স্বার্থক করেছে।
মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার আব্দুল কাইয়ুম বলেন, মৃত্যুর পর স্যালুট তো আমরা দেখি না,জীবিত অবস্থায় স্যালুট পেয়ে আনন্দে মন ভরে গেছে। সভার প্রত্যক্ষদর্শী শিক্ষক সাইফুল ইসলাম রিপন জানান,মুক্তিযোদ্ধা সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে মুক্তিযোদ্ধা, প্রশাসনিক কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধি, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দসহ অনেকেই ছিলেন মঞ্চে। আর মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্যরা ছিলেন মঞ্চের নীচে বসা। সভা চলাকালে থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে তাঁর বক্তব্যের জন্য ডাকা হলে তিনি নীচে নেমে মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের পরিবারের সদস্যদের স্যালুট দেওয়ার বিষয়টি ব্যতিক্রম ও প্রশংসনীয় ছিল।
জগন্নাথপুর থানার ওসি মিজানুর রহমান যুগান্তর কে বলেন, মুক্তিযোদ্ধারা জাতীয় বীর এবং জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান। দেশের জন্য তারা যে ত্যাগ স্বীকার করেছেন এর জন্য আমরা কৃতজ্ঞ। তাদের কে একসঙ্গে পেয়ে সন্মান জানিয়ে স্যালুট দিতে পেরে খুব ভালো লাগছে।
Leave a Reply